শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলির পরেও চেয়ার ছাড়ছেন না নির্বাচন কর্মকর্তা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১২ |আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৯
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেনকে বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জনবল ব্যবস্থাপনা শাখা-১ এর সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত ৩ এপ্রিল এক আদেশে তাকে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় বদলি করা হয়।

বদলির আদেশে গত ৮ এপ্রিলের মধ্যে আব্দুল মোমেনকে রাণীনগরের কর্মস্থল ছেড়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাণীনগরের কর্মস্থল ছেড়ে যাননি তিনি। বৃহম্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তাকে রাণীনগরে অফিস করতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে বদলির আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বদলির আদেশ স্থগিত করতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় লবিংও করছেন বলে জানা যায়।

এদিকে রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমেনের বদলির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেবাপ্রত্যাশীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সচেতন মহল বলছে, কি মধু আছে রাণীনগরে। আর খুঁটির জোর কোথায়। বদলির পরেও চেয়ার ছাড়ছেন না নির্বাচন কর্মকর্তা মোমেন।

সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন রাণীনগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট ছাড়া ভোটার না করা, নানা অজুহাতে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি করা, যোগ্য না হলেও বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে পছন্দের লোকজনকে সুবিধামত স্থানে ডিউটি বন্টন করা ও অফিসে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘুস ছাড়া কাজ করতে না তিনি বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

বদলির পরেও কীভাবে রাণীনগরের কর্মস্থলে আছেন জানতে চাইলে সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন বলেন, আমি আমার অফিসের নির্দেশে এখানে আছি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামানকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



মন্তব্য করুন