শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেলাপি ঋণে আবারও ছাড়

অনলাইন ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২১ ০৩:৫৩ |আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৩:২৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের প্রভাব মোকাবেলায় খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে আবারও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাড়ানো হয়েছে ঋণের মেয়াদ। ফলে ঋণ পরিশোধের সীমা বেড়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) এ নিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে, ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে তলবি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২১ মাস বেড়েছে। চলমান ঋণের মেয়াদ বেড়েছে ১৫ মাস। চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন মাস।


এর আগে গত বছরে ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ওই সুবিধা প্রত্যাহার করে শুধু মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তবে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার কথা ছিল। নতুন সার্কুলারে সব ধরনের ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধের মেয়াদ বিভিন্ন হারে বাড়ানো হয়েছে।


সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে ঋণপ্রবাহ পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেসব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় নবায়ন করা হয়নি। সেসব ঋণের বিপরীতে অনাদায়ী সুদ চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। একই সঙ্গে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না। অর্থাৎ চলমান ঋণের সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে তা খেলাপি হবে না। এ সুবিধা আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে। এবার শুধু সুদ পরিশোধ করতে হবে।


এদিকে তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত হলে এগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে ২১ মাস।

 

সার্কুলারে আরও বলা হয়, নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত না হলে যে ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধিত হবে না, ওই সময় থেকেই আলোচ্য সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ওই ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে।

 

চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেগুলোকে খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে তিন মাস।

 

 

 



মন্তব্য করুন